ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফে মুক্তিযোদ্ধা তাহের চৌধুরী আর নেই, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

ds-238x300টেকনাফ প্রতিনিধি ::

টেকনাফের বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আবু তাহের চৌধুরী আর নেই। তাঁকে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিঁনি ৭ মার্চ সোমবার সকাল ৮ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে (চমেক) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি……রাজিউন)। তিঁনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে মূমর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সোমবার বিকাল ৫ টায় মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের চৌধুরীর নামাজে জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিঁনি ক্যাপটেন সোবহানের অধীনে কক্সবাজার, বান্দরবনসহ দক্ষিন চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করেন এবং একজন তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা।
এদিকে তাঁর পারিবারিক সুত্র জানায়, আর্থিক অভাবে মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের চৌধুরী উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তাঁর রোগের মাত্রা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁর অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা থেকি বঞ্চিত হয়েছিলেন। জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের চৌধুরীর কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কক্সবাজার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা না থাকায় তাকে চট্টগ্রামে রেফার করেছিলেন। তিঁনি ৭১’সালে পাকিস্তানীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু স্বাধিনতার ৪৫ বছর পরেও সেই মুক্তিযোদ্ধা যথাযথ মূল্যায়ন বঞ্চিত থেকেছিলেন। তিনি আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিলেন।
তার ৩ ছেলে ৪ মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় দুই মেয়ের বিবাহ সম্পাদন হলেও মেধাবী ছাত্রী পাপিয়া সুলতানা পপি হোয়াইক্যং আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ছোট এক মেয়ে এক ছেলে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি। পরিবারে উপার্জনের কোন ব্যবস্থা নেই। সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তাঁর একমাত্র সম্বল। তাঁর স্ত্রী সাবেকুন নাহার ও ছোট ছেলে আয়ূবুর রহমান সাগর হাসপাতালে রয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আয়ুব বাঙ্গালী সদর হাসপতালে তাঁর কোন রকম দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, তাঁর উন্নত চিকিৎসা খুবই জরুরী। এসএসসি পরীক্ষার্থী পাপিয়া সুলতানা পপি বলেন, ‘আমার বাবা স্বাধিনতার সময় জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল। আজকে অর্থের অভাবে আমার বাবার চিকিৎসা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বাবার আত্মার রুহের শান্তির জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছে।

পাঠকের মতামত: